প্রত্যয় ডেস্ক: ইউরোপের দেশ পর্তুগালে অভিবাসীদের সন্তানদের নাগরিকত্ব সহজ হল। এ জন্য ইতোমধ্যে পার্লামেন্টে পর্তুগালের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ইতিহাস-ঐতিহ্যে বিশ্বনন্দিত একবিংশ শতকে সৃষ্টি হওয়া একটি দেশের নাম পর্তুগাল। শত শত বছরের পূর্ব থেকে পর্তুগিজ নাবিকদের বিশ্ব ভ্রমণ, উপনিবেশিক শাসন সভ্যতার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। সে কারণে অভিবাসীদের প্রতি তাদের আচরণ খুবই নমনীয় এবং গ্রহণযোগ্য।
ইউরোপের একমাত্র দেশ পর্তুগাল যেখানে ইউরোপের বাইরের তৃতীয় দেশের ক্ষেত্রে মাইগ্রেশন প্রক্রিয়াটা খুবই সহজ এবং নমনীয় যে কেউই খুব সহজেই এখানে থাকার ইচ্ছা পোষণ করলে ন্যূনতম শর্তে বসবাস করার সুযোগ পায়। এখানেও বিদেশির পাঁচ বছর নিয়মিত থাকার পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারে এবং দুই বছর নিয়মিত থাকার পর যদি তাদের সন্তান জন্মগ্রহণ করে তাহলে সে পর্তুগিজ নাগরিকত্ব পায়।
তবে গত জুলাই মাসে পার্লামেন্টে পর্তুগালের নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের জন্য উত্থাপিত হওয়ার পর পরবর্তীতে যখন প্রেসিডেন্টের কাছে অনুমোদনের জন্য যায়, তখন প্রেসিডেন্ট কয়েকটি বিষয়ে সংশোধনী এনে তা পুনরায় উপস্থাপনের জন্য পাঠান। এই আইনটি সংশোধনের পর পুনরায় প্রেসিডেন্টের কাছে গত সপ্তাহে উপস্থাপিত হয় এবং প্রেসিডেন্ট তা অনুমোদন দেন। এই আইন অনুযায়ী এখন অনিয়মিতভাবে বসবাসকারী পিতা মাতার সন্তান জন্ম হলেও সে পর্তুগিজ নাগরিকত্ব পাবে বা দুজনের মধ্যে একজন পর্তুগালে নিয়মিতভাবে বসবাস করলে তাদের সন্তান পর্তুগিজ নাগরিকত্ব পাবে।
এর আগে যা ছিল পাঁচ বছর এবং পরবর্তীতে দুই বছর এখন তা করে হলো এক বছর। তবে কোনভাবেই অনিয়মিত অভিবাসীদের সন্তান পর্তুগিজ নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকারী হতো না। তাছাড়া বৈবাহিক সূত্রে পর্তুগিজ নাগরিকত্ব পেতে হলে পূর্বে সাড়ে তিন বছর সময় লাগতো। কিন্তু বর্তমান আইনে তা তিন বছর করা হয়েছে এবং আরও বিভিন্ন অনুচ্ছেদে সময় উপযোগী কিছু সংশোধন করা হয়েছে।
সত্যিকার অর্থে বলতে গেলে পর্তুগাল একটি শিশু বান্ধব দেশ, যদিও উন্নত দেশগুলোতে শিশুদের অগ্রাধিকার থাকে। তবে বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা গছে পর্তুগালের প্রয়োগ খুব বেশি, স্বাস্থ্যসেবা, চিকিৎসা, শিক্ষা, সামাজিক সুযোগ-সুবিধা ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে এখানকার শিশুরা অধিকার পেয়ে থাকে।